অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জয়নুল আবদীন ফারুকের

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক এ দাবি করেন। জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত এই সমাবেশে নেতারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে দ্রুত নির্বাচনের দাবি তুলে ধরেন।

জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, “জনগণের সরকার ছাড়া দেশের কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ চলমান জনদুর্ভোগের অবসান কেবল সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে সম্ভব।”

তিনি বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “যেকোনো বিতর্ক এড়াতে এবং জনগণের আস্থা ফেরাতে সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন সম্ভব নয়।”

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবীব। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এবং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট মোকাবিলায় দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচনের প্রয়োজন। সরকারকে এখনই একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।”

নাগরিক সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির ব্যাপারী। তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপির পক্ষ থেকে সবার জন্য সমান সুযোগ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানানো হচ্ছে।”

এ সমাবেশে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ থেকে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলা হয় যে তারা জনগণের আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

বক্তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জনদুর্ভোগ দূর করতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা।

বিএনপির এই দাবি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমানো সম্ভব হবে।